পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি আইন বহালের ষড়যন্ত্র প্রতিরোধের দাবি:গোলটেবিল আলোচনা।

0 230

ডেস্ক রিপোর্ট:

পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল নাগরিকের সমান অধিকার থাকতে হবে ধর্ম বর্ন গোত্রের কোনো পরিচয় দিয়ে ও হিল ট্রাকস্ট ম্যানুয়াল দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম চলতে পারেনা। সাংবিধানিক অধিকার সমানভাবে থাকতে হবে। সংবিধান যদি পরিবর্তন হতে পারে তাহলে চুক্তি কেনো পরিবর্তন হবেনা? এই প্রশ্ন রাখেন বক্তারা।আজ শনিবার (১৩ জুলাই) চট্টগ্রাম স্টেশন রোডস্থ এশিয়ান এসআর হোটেল সম্মেলন কক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের উদ্যেগে আয়োজিত উপনিবেশিক ও অসাংবিধানিক ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি আইন বহাল রাখার ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে আশু করণীয় শীর্ষক-গোলটেবিল আলোচনা এর আয়োজন করা হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান কাজী মজিবর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করে কেন্দ্রীয় মহাসচিব আলমগীর কবির। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ পাঠ করেন পিসিএনপির লিগ্যাল এইড এর আহবায়ক এড পারভেজ তালুকদার। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে প্রধান আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন মাননীয় সংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব:) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, বিশেষ আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আরবী বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনুস. অধ্যাপক ড. আ. ফ. ম খালিদ হোসাইন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, এডভোকেট মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন চৌধুরী, চট্টগ্রাম বারের সভাপতি, মোহাম্মদ রফিকুল আলম, সাবেক মেয়র খাগড়াছড়ি সদর পৌরসভা। সহযোগী মোহাম্মদ মাহফুজ চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজ, এডভোকেট আলম খান, সুপ্রিম কোর্ট, আবু বকর (সাংবাদিক) সাবেক সদস্য খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ, কামাল পারভেজ ব্যুরো প্রধান দৈনিক আমাদের নতুন সময় ও সহকারী অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজ।

প্রাধান আলোচক বীর মুক্তিযুদ্ধা মেজর জেনারেল অব. সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক মহোদয় তার বক্তব্যে বলেন পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক রকম সমেস্যা রয়েছে তার মধ্যে ১৯০০ সালের শাসনবিধি একটি মৌলিক সমেস্যা। এটি সমাধান করা সময়ের দাবি। সাধারণ জনগণের কথা চিন্তা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি স্পেশাল দেখবেন বলে আশাকরি।

আমার চাকুরি জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে জানা সেখানের সাধারণ জনগণ কয়েকটি সন্ত্রাসী দলের কাছে জিম্মি। যেটা মেনে নেয়া যায় না। এটি সমাধানের পথে সকলকে ভুমিকা রাখতে হবে। 

দ্বিতীয় পর্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম খৃষ্টান মিশনারীর তৎপরতা বিষয়ক বিষয়ে আলোচনা করেন। আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম এর অধ্যাপক পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষায়ক গবেষক ড. আ.ফ.ম খালিদ হোসাইন। অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের স্হায়ী কমিটি, তিন পার্বত্য জেলা এবং মহানগর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.