নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতায় ইউপিডিএফ ৪ শিক্ষার্থীকে মুক্তি দিতে বাধ্য হলো।

0 84

ডেস্ক রির্পোটঃ

নিরাপত্তা বাহিনীর অবিরাম প্রচেষ্টা ও কৌশলগত অভিযানের ফলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অপহৃত ৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪ জন মুক্তি পেয়েছেন। গত ১৬ এপ্রিল খাগড়াছড়ি জেলার গিরিফুল এলাকা থেকে ইউপিডিএফ (মূল) সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হাতে অপহৃত হন এই শিক্ষার্থীরা। অপহরণের পর থেকেই নিরাপত্তা বাহিনী তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধার অভিযান শুরু করে, যা শেষ পর্যন্ত সফলতার মুখ দেখেছে।

গত ২১ এপ্রিল ভোরে খাগড়াছড়ির ভাইবোনছড়া এলাকায় সেনাবাহিনী ইউপিডিএফ-এর শীর্ষ সন্ত্রাসীদের একটি গোপন আস্তানার সন্ধান পায়। অভিযানে গোলাবারুদ ও সরঞ্জাম উদ্ধারের পাশাপাশি আস্তানাটি ধ্বংস করা হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর ক্রমবর্ধমান চাপে গ্রেফতারের ভয়ে ইউপিডিএফ বাধ্য হয়ে ৪ শিক্ষার্থীকে মুক্তি দেয়। তবে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী রিশন চাকমা এখনো মুক্তি পাননি বলে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, গতকাল ২২ এপ্রিল কাউখালীর নাকশাছড়িতে ইউপিডিএফ দিব্যি চাকমাকে এনে রাখে। পরবর্তীতে সন্ধ্যা ৭টায় জীবতলি মইনে এলাকায় ইউপিডিএফ নেতা উদয় চাকমার মাধ্যমে শিক্ষার্থী দিব্যি চাকমাকে তার পিতা ধনঞ্জয় চাকমার কাছে হস্তান্তর করা হয়। নিরাপত্তার কারণে তারা দ্রুত নিজ বাড়ির দিকে রওনা হন। অন্য ৩ শিক্ষার্থীর অবস্থান ও যোগাযোগের তথ্য নিরাপত্তার স্বার্থে গোপন রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, মুক্তির আগে ইউপিডিএফ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক জবানবন্দি রেকর্ড করে এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করে যাতে তারা মুক্তির পর সংগঠনের বিরুদ্ধে মুখ না খোলে। মূলত তারজন্যেই তাদের পরিবার অনেকটাই গোপনীয়তা বজায় রাখছে।

এই সফল অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর পেশাদারিত্ব, সাহসিকতা এবং নিষ্ঠার প্রশংসা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের এই তৎপরতা অঞ্চলের নিরাপত্তা ও শান্তি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য না করলেও, তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে।

এ ঘটনা নিরাপত্তা বাহিনীর দৃঢ়তা ও দক্ষতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

Leave A Reply

Your email address will not be published.