সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সীমান্ত ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দৃঢ় বন্ধন

কর্নেল মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, পিএসসি

0 66

বাংলাদেশের সীমান্তরেখা, যা তিন দিকে ভারত বা এবং এক দিকে মিয়ানমারকে ছুঁয়ে অঅস নৈঃশব্দ্য ভেঙে এগিয়ে চলেছে, আসলে কেবল মানচিত্রের চৌহদ্দি নয়। এটি স্বাধীনতার এক দর্ঘ কাব্যময় রেখাচিত্র, যেখানে জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার সুরম্য স্তন্ত দাঁড়িয়ে আছে। এই সীমান্ত সুরক্ষা শুধু কাঁটাতারের প্রতিরোধ নয়, বরং রাষ্ট্রের ডিভিমূলকে অটুট রাখার অনলশিখা। সেই ভারী দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে যুগ যুগ ধরে দাঁড়িয়ে আছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তাদের পারস্পরিক সৌহার্দ এক জটিল রণকৌশলের অন্তর্নিহিত সুর, যা আইনি কাঠামো, ইতিহাস, ঐতিহ্য আর আত্মত্যাগের অপূর্ব মিশেল।

১৭৯৫ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সূচনালগ্নে রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়ন নামে যে ছোট্ট সশস্ত্র দলটি পূর্ব বাংলার পাহাড়ি সীমান্ত পাহারা দিতে নেমেছিল, ভা ভা ছিল এ অঞ্চলে সামরিক পরবর্তীকালে নানা পর্যায়ে রূপান্তরিত হয়ে আজকের বিজিবি। ফ্রন্টিয়ার গার্ডস, বেঙ্গল মিলিটারি পুলিশ, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস। ইপিআর) এবং বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) নাম বদলেছে, কিন্তু। কর্তব্যের মূলস্রোত রয়ে গেছে অপরিবর্তনীয়। ব্রিটিশ আমলে সীমান্ত রক্ষায় অদম্য সাহস প্রদর্শন করা এই পূর্বসূরি বাহিন গুলো ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছিল প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে। এই যৌথ যুদ্ধের মধ্য দিয়েই শুরু হয়েছিল সেনাবাহিনীর ওপর তাদের নির্ভরশীলতার দৃঢ় বুনন। বেঙ্গল মিলিটারি পুলিশ নামে পরিচিত
ঐতিহাসিক ইউনিট বিশ্বযুদ্ধের রণাঙ্গনে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অংশ হয়ে মেসোপটেমিয়া ও আফগানিস্তানে যুদ্ধ করেছে। সৈনারা তখন ব্রিটিশ সামরিক কাঠামোর অধীনে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে বিপৎসংকুল অভিযান সম্পন্ন করেছে, যেখানে সেনাবাহিনীর কৌশল, সরাসরি নির্দেশনা ও প্রশিক্ষণ ছিল পথনির্দেশক। তাদের বীরত্বের স্মারক হিসেবে ‘আবর মেডেল’, ‘অর্ডার অফ ব্রিটিশ ইন্ডিয়া’, ‘ইন্ডিয়ান অর্ডার অফ মেরিট’-এর মতো পদকে ভূষিত করা হয়। এগুলো নিছক পদক নয়, বরং সেনাবামিনীর অনুপ্রেরণায়, কৌশলগত ছত্রছায়ায় এবং যৌথ কমান্ডের নির্দেশনায় অর্জিত গৌরবের স্মারক। এভাবে পুরোনো ঐতিহ্যের গোড়াপত্তন থেকেই সেনাবাহিনী ও বিজিবির পূর্বসূরিদের সম্পর্ক জোরালোভাবে প্রোথিত হয়েছিল।

দেশভাগের পর ১৯৪৭ সালে পূর্ব বাংলায় এই বাহিনী পুনর্গঠন করে ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর) নাম ধারণ করে। মুক্তিযুদ্ধের মহাকাব্যে ইপিআরের বাঙালি সদস্যরা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে, আবারও সেনাবাহিনীর সঙ্গে হাত ধরাধরি করে রণাঙ্গন কাঁপিয়ে তোলে। বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের মতো দৈনিকেরা ইপিয়ারের কোলেই জন্ম নিয়েছিলেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সেনাবাহিনীর কৌশলগত নির্দেশনা, নেতৃত্ব ও পরামর্শ ছিল তাদের পথচলা সহজ করার চাবিকাঠি। স্বাধীনতার পর ইপিআর হয়ে উঠল বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) এবং পরবর্তীকালে পিলখানা ট্র্যাজেডি পেরিয়ে ২০১০ সালে নাম নিল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এই দীর্ঘ সময় সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব পালনে বামিনটি পরিণত হয়েছে আরো দক্ষ, আধুনিক ও সুসজ্জিত শক্তিতে। তবে ঐতিহাসিক শিকড় ছিল সেনাবাহিনীর কৌশলগত ছায়া, তাদের পঙ্খানুপুঙ্খ নির্দেশনা, প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ বিনা বিজিবির সক্ষমতা উচ্চ স্তরে পৌঁছানো কঠিন হতো। এ সম্পর্ক কেবল প্রয়োজনের ফসল নয়, বরং তা সময় ও পরীক্ষার আগুনে জ্বলে পুড়ে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে যাওয়া এক বন্ধন।

বাংলাদেশের সংবিধান এই প্রতিরক্ষামূলক পরিবেশনা পরিচালনার মূল ভিত্তি। সংবিধানের বিভিন্ন অনুচ্ছেদে প্রতিরক্ষা সংত্রনন্ত দিকনির্দেশনা স্পষ্ট করা হয়েছে। জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষার দায়িত্ব সরকারের, আর সরকার সংবিধানের নির্দেশে সশস্ত্র বাহিনী এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীকে ব্যবহার করতে পারে।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন, ২০১০ অনুযায়ী, বিজিবি সাধারণত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হয়। কারণ সীমান্ত রক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধ ও অভ্যন্তরীপ নিরাপত্তা রক্ষা মূলত আইনশৃঙ্খলা রক্ষারই অংশ। কিন্তু এই একই আইনে (ধারা ৬) বলা আছে, ‘যুদ্ধকালীন সময়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দেশের সশস্ত্র বাহিনীর অধীনে থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করবে। অর্থাৎ, যুদ্ধঝলীন সংকটে বিজিবি আর স্বরাষ্ট্র নয়, সরাসরি সেনাবাহিনীর অধীনে এসে দাঁড়াবে। ধারা ৭-এ আরো বলা হয়েছে, ‘জাতীয় জরুরি অবস্থায় সরকার বিজিবিকে সশর বাহিনীর অংশ হিসেবে ব্যবহারের নির্দেশ দিতে পারে।’ আইন স্পষ্ট করেছে যে, শান্তির দিন বিজিবি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কর্মরত থাকলেও সংকটে এই বাহিনীর স্বরূপ বদলে যায়, তারা হয়ে ওঠে সেনাবাহিনীর অচ্ছেদ্য অংশ।

সেনাবাহিনী ও বিজিবির সম্পর্কের এই মাহাত্ম্য কেবল আইনগত বা ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, বাস্তব ক্ষেত্রেও বিস্ময়করভাবে কার্যকর। ২০০১ সালে ভারতীয় সীমান্তবর্তী বড়াইবাড়ী সংঘর্ষে বিজিবি (তৎকালীন বিডিআর) দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পেরেছিল সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা তথ্য, পরামর্শ ও নেপথ্যে থাকা মনোবল বৃদ্ধিকারী ভূমিকার কারণে। ঐ সংকটে উভয় বাহিনীর সুদৃঢ় সম্পর্ক দেশমাতৃকার ইজ্জত রক্ষায় পরোক্ষ অথচ অমূল্য অবদান রাখে।

২০১৭ সালে যখন রোহিঙ্গাসংকট দেশকে। এক মানবিক পরীক্ষানিরীক্ষার সামনে দাঁড় করায়, বিজিবি সীমান্তে অনুপ্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করে, আর সেনাবাহিনী শরণার্থীদের অন্য খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এই ঐকতানের ফলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের মানবিক ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। প্রকৃতির রুদ্ররোষে বন্যা, ঘূর্ণিঞ্চড়ের ক্ষতি সীমিত করতে বিজিবি আবারও সেনাবাহিনীর সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করে। পরিস্থিতি মোকাবিলার কৌশল, সরঞ্জাম ও যোগাযোগব্যবস্থায় সেনাবাহিনীর পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা বিজিবির ত্রাণকার্যে গতি আনে। সংবিধানের আলোকে, এই যৌথ তৎপরতা জনগণের জানমালের সুরক্ষা নিশ্চিত করে, যা মূলত রাষ্ট্রের প্রধান দায়িত্ব। মানবিক সহায়তায় তাদের সম্পূরক ভূমিকা আবারও প্রমাণ করে যে বিজিবির শক্তি বাড়ে সেনাবাহিনীর ছায়ায়।

বাংলাদেশের সংবিধান (অনুচ্ছেদ ৬১-৬৩ সহ প্রাসঙ্গিক অংশগুলো) রাষ্ট্রের নিরাপত্তা কাঠামোকে সরকারের নির্বাহী ক্ষমতার অধীন স্থাপন করে। এমন এক কাঠামোয়, যেখানে যুদ্ধ-সংকটে সব *ভিকে একীভূত করা প্রয়োজন, বিজিবির মতো সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর সেনাবাহিনীর ওপর নির্ভরশীলতা পুরোপুরি যৌক্তিক। সেনাবাহিনী যেহেত সর্বোচ্চ সামরিক প্রশিক্ষণ, রসদ আর কৌশলে সমৃদ্ধ, তাই যুদ্ধকালীন কমান্ড-ব্যবস্থায় বিজিবিকে তাদের অধীনে আনা সহজেই রণকৌশলে ঐক্য সৃষ্টি করে। সংবিধানের এই কাঠামো বিন্দু থেকে বিন্দুতে যৌক্তিক করে তোলে বিজিবির সেনাবাহিনীর ওপর নির্ভরতা। অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন, কেন বিজিবি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে নয়? কারণ এটি মূলত সীমান্ত রক্ষা এবং অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার বাহিনী, যা শান্তিকালীন সময়ে সেনাবাহিনীর মতো যুদ্ধমুখী নয়।

‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ অ্যাক্ট, ২০১০’ সেই কাঠামোই চিহ্নিত করে, যেখানে স্বাভাবিক সময়ে বিজিবি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্দেশে কাজ করবে, কিন্তু সংকটকালে সামরিক বাহিনীর নির্দেশে একীভুত হবে। এটি এক অভিন্ন স্পেকট্রাম। আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে এ ধরনের কাঠামো নতুন নয়। আরতের বিএসএফ বা যুক্তরাষ্ট্রের সিবিপি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করে, কিন্তু যুদ্ধে বা সংকটে সেনাবাহিনীর সহায়তা চায়। এই আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের কাঠামো সামঞ্জস্যপূর্ণ। এমন কাঠামো যৌক্তিকভাবে নিশ্চিত করে যে, সীমান্ত রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনী স্বাভাবিক সময়ে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় মনোনিবেশ করবে, বা সংকটে সরাসরি সামরিক কমান্ডে কাজ করে জাতীয় প্রতিরক্ষা জোরদার করবে। ঠিক যেমন বিশ্বযুদ্ধে বেঙ্গল মিলিটারি পুলিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীর নির্ভরযোগ্য অংশীদার হয়েছিল, আজও বিজিবি দুষ্টেণকালে সেনাবাহিনীর নির্ভরযোগ্য সহযোগী। বিজিবির দীর্ঘ ২২৯ বছরের ইতিহাসটিই হচ্ছে সাহসিকতা ও নির্ভরশীলতার এক মহাকাব্য। ব্রিটিশ আমলে সাহসিকতার স্বীকৃতি হিসেবে প্রাপ্ত। পদকগুলি স্মরণ করিয়ে দেয় যে, তাদের কীর্তি একাকী অর্জিত নয়, বরং সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করে এসেছে। মুক্তিযুদ্ধে ইপিআরের অকুতোভয় সৈনিকেরা সেনাবাহিনীর ছত্রছায়ায় থেকেই স্বাধীনতার আসন্ন প্রদীপ জ্বালিয়েছিল। স্বাধীনতার পর পিলখানার দুঃসময় অধ্যায় পেরিয়ে নতুন নামে যখন বিজিবি আত্মপ্রকাশ করল, তখনো পুনর্গঠনে সেনাবাহিনীর পরামর্শ ও নির্দেশন্য মুখ্য ভূমিকা রেখেছে।

আজকের বিজিবি সীমান্তে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে, ড্রোন, থার্মাল ইমেজার ও উন্নত নজরদারি ব্যবস্থায় সজ্জিত। এসব আধুনিকায়নের পেছনে সেনাবাহিনীর প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ও অভিজ্ঞতার হাতছানি রয়েছে। গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান, যৌথ প্রশিক্ষণ আর রণকৌশল নির্ধারণে সেনাবাহিনীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। বিজিবির সদস্যরা সেনাবাহিনীর সঙ্গে প্রশিক্ষণে অংশ নিয়ে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে অভিযোজন ক্ষমতা বাড়ায়।

নিঃসন্দেহে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। দায়িত্ব বিভ্রান্তি প্রযুক্তিগত বৈষম্য বা সম্পদের সীমাবদ্ধতা কখনো কখনো কাজের গতি কমিয়ে দিতে পারে কিন্তু নিয়মিত যৌথ প্রশিক্ষণ, নীতি প্রণয়ন এবং প্রযুক্তিগত সমন্বয়ে এ সমস্যাগুলো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। সরকারকে বিজিবির আধুনিকায়নে আরো বিনিয়োগ করতে হবে, সেনাবাহিনীকে তাদের উন্নত প্রযুক্তি ও কৌশল ভাগ করে নিতে হবে, যেন সীমান্ত সুরক্ষার দেওয়াল আরো মজবুত হয়। সময় বদলায়, আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও আঞ্চলিক সমীকরণ পরিবর্তিত হয়, কিন্তু সেনাবাহিনী ও বিজিবির পারস্পরিক নির্ভরতা অবিচল। ইতিহাসের আলোকবর্তিকা বলে দেয় যে, তাদের ঐক্য প্রাচীন, প্রমাণিত ও যৌক্তিক। বিশ্বযুদ্ধ থেকে মুক্তিযুদ্ধ, পিলখানার দুঃসময় থেকে রোহিঙ্গাসংকট প্রতিটি ক্রান্তিকালে সেনাবাহিনীর ওপর নির্ভর করা বিজিবির জন্য সময়ের পরীক্ষিত সত্য। সংবিধান। ও আইন এই সত্যকে ইতিবাচক স্বীকৃতি দিয়েছে। বিজিবির পূর্বসূরি বাহিনীর অর্জিত পদকগুলো কেবল সাহসের স্বাক্ষর নয়, বরং সেনাবাহিনীর অধীনে থেকে জ্যোতির্ময় হয়ে ওঠার অমোচনীয় প্রমাণ।

উপসংহারে বলা যায়, সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের পারস্পরিক সৌহার্দ একটি ঐতিহাসিক, আইনি ও ব্যাবদারিক অনুষদের মহাকাব্য। সংবিধান ও আইনসিদ্ধ এই সম্পর্ক বেবল ঐতিহ্য নয়, এটি একটি যৌক্তিক কাঠামো, যা সংকটের সময় গোটা জাতিকে প্রতিরক্ষা হাতার নিচে একত্র করে। যুগে যুগে, কড়ঝক্কায়, দেশে ও দূর প্রান্তরে এ দুটি বাহিনীর অলক্ষনীয় সংযোগ দেশের সার্বভৌমত্বের রক্ষাকবচ হিসেবে জ্বলজ্বল করে থাকবে। এভাবেই ইতিহাস, ঐতিহ্য, আইন, সংবিধান, সাহস ও নির্ভরশীলতার সূদ্ধা জাল বুনে তৈরি হয়েছে এক এক অনন্য মেলবন্ধন, যা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অন্তরের অনির্বাণ অগ্নিশিখা।

লেখক: সেনা কর্মকর্তা, উপমহাপরিচালক, মিডিয়া উইং, বিজিবি সদর দপ্তর

Leave A Reply

Your email address will not be published.