চার পাহাড়ি হত্যায় দোষীদের গ্রেপ্তারের ৪৪ দালালের দাবি 

0 206

ডেস্ক রিপোর্টঃ

চার পাহাড়ি হ*ত্যায় দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি ৪৪ বিশিষ্টজনের

 

০২ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে প্রথম আলোতে প্রকাশিত খবরের শিরোনাম।

একইদিন অন্যান্য পত্রিকাতেও এই খবর প্রায় একইরকম শিরোনামে ছাপা হয়েছে।

 

কারা এই ৪৪ বিশিষ্টজন?

 

“সুলতানা কামাল, খুশি কবীর, জেড আই খান পান্না, ইফতেখারুজ্জামান, পারভীন হাসান, ফেরদৌস আজিম, তবারক হোসেন, সুব্রত চৌধুরী, সারা হোসেন, শিরিন পারভীন হক, সামিনা লুৎফা, শহিদুল আলম, সুমাইয়া খায়ের, তাসলিমা ইসলাম, রেহনুমা আহমেদ, শাহনাজ হুদা, রোবায়েত ফেরদৌস, খাইরুল ইসলাম চৌধুরী, জোবায়দা নাসরিন, শামসুল হুদা, সালমা আলী, গীতি আরা নাসরীন, সাদাফ নুর, মির্জা তাসলিম সুলতানা, মিনহাজুল হক চৌধুরী, রোজিনা বেগম, মাইদুল ইসলাম, স্বপন আদনান, পল্লব চাকমা, মণীন্দ্র কুমার নাথ, রেজাউল করিম চৌধুরী, ফস্টিনা পেরেইরা, নোভা আহমেদ, ফারহা তানজীম তিতিল, তাসনীম সিরাজ মাহবুব, জাকির হোসেন, সাইদুর রহমান, আশরাফ আলী, শাহদাত আলম, নাজমুল হুদা, মো. আজিজুল্লাহ ইমন, দীপায়ন খীসা, হানা শামস আহমেদ ও মুক্তাশ্রী চাকমা”

 

নামগুলা খুব পরিচিত না! দালালগুলা আবারও মাঠে নামতেছে।

 

ওনারা বিশিষ্ট নাগরিক, তাহলে আমরা কারা? আমরা হলাম ধইঞ্চ্যা।

 

ওনাদের বক্তব্য কি? ওনারা বলেন,

 

“২১ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তিন উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি সফর করেন। তাঁরা রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে সেনানিবাসে বসে বাঙালি এবং জাতিগত নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। কিন্তু নি*হত ব্যক্তিদের পরিবারের কোনো সদস্যের সঙ্গে অথবা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে ভুক্তভোগীদের মতামত শোনেননি বা তাঁদের কোনো সান্ত্বনা দেননি। আদিবাসী নাগরিক সমাজের কতিপয় ব্যক্তি একটি মতবিনিময় সভায় ছিলেন বলে জেনেছি। এতে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর সাধারণ মানুষ যেমনভাবে হতাশ ও মর্মাহত হয়েছিল, আমরাও দারুণভাবে বিস্মিত। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবশ্য কঠোর ভাষায় বলেছেন, এ ঘটনায় যাঁরা জড়িত, তাঁদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। কিন্তু ভিডিও ফুটেজে হত্যা*কাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের অনেককে স্পষ্ট শনাক্ত করা গেছে, তাঁদের কাউকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়নি। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশের কোনো তৎপরতা লক্ষ করা যায়নি।

 

‘আমরা গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ করছি, দশকের পর দশক পার্বত্য তিন জেলাসহ অন্যান্য জেলার আদিবাসী মানুষ অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে ঐতিহাসিকভাবে এবং স্বাধীনতা–পরবর্তী দশকের পর দশক ধরে যে বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন। মৌলিক নিরাপত্তা ও মানবিক আচরণের ক্ষেত্রেও একই ধরনের রাষ্ট্রীয় বৈষম্য ও অবহেলার মধ্যে দিনাতিপাত করেন। ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রেও বারবার তাঁদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। এটা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষিত লক্ষ্যের সঙ্গে সংগতিহীন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে অর্জিত সাফল্যের সঙ্গেও অসামঞ্জস্যপূর্ণ”

 

তাদের বিবৃতির মধ্যে ‘আদিবাসী’ শব্দটা কয়েকবার উল্লেখ করা হয়েছে অথচ গণমাধ্যমে সংবিধান পরিপন্থী ‘আদিবাসী’ শব্দের ব্যবহার বন্ধ করা প্রসঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে অসংখ্যবার চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।

 

দৈনিক প্রথম আলো কি সেটা জানেনা? অবশ্যই জানে। তারা এভাবেই বরাবরের মতো বিদেশীদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের পক্ষে তাদের অবস্থান ধরে রেখেছে।

 

বাংলাদেশ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে বাংলাদেশে বসবাসরত বিভিন্ন ক্ষুদ্র সম্প্রদায়/ গোষ্ঠীকে উপজাতি/ ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বা/নৃ-গোষ্ঠী বলে অভিহিত করা হয়েছে। এই বিষয়টা কি সুলতানা কামাল, খুশি কবীর, জেড আই খান পান্না, ইফতেখারুজ্জামান, সুব্রত চৌধুরী, সারা হোসেন, সামিনা লুৎফা, শহিদুল আলম, রোবায়েত ফেরদৌস, গীতি আরা নাসরীন ইত্যাদিরা জানেন না! নাকি বাংলাদেশের সংবিধান তাদের জন্য প্রযোজ্য না? কিংবা তারা সংবিধানের ঊর্ধে?

 

গত ০১ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে সাংবাদিক কনক সারোয়ার-এর ইউটিউব চ্যানেলে চিটাগং হিল ট্রাক্ট রিসার্চ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জনাব মেহেদী হাসান পলাশ কথাপ্রসঙ্গে দাবী করেছেন বর্তমান উপদেষ্টাদের অনেকেই উপজাতিদের বিতর্কিত দাবীর (আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি) পক্ষে। বিবৃতিদাতাদের নামগুলো পড়ে একজনকে খুঁজে পেলাম এবং পাশাপাশি বেশ কয়েকজনকে খুঁজে পেলাম যারা বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উপদেষ্টাদের সাথে ঘনিষ্ঠ।

 

“খাগড়াছড়িত ও রাঙামাটিতে ক্ষুদ্রজাতিগোষ্ঠীর ৪ জনকে হ*ত্যা*সহ সকল ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ, উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করা। ভিডিও ফুটেজে চিহ্নিত দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইন অনুযায়ী কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা। নি*হত চার পাহাড়ির পরিবারের সদস্যদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। এর পাশাপাশি যাদের বাড়িঘর লুট*পাট করা হয়েছে এবং দোকান পু*ড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তাদেরও যথাপোযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবি করা হয়”

 

দাবীর সাথে একমত। কিন্তু এখানে পার্বত্য বাঙালিদের কথা বলা হয়নি কেন? চার পাহাড়ি ছাড়াও বাঙালি মা*রা গিয়েছে, ম*ব জাস্টিসে মামুন মারা গিয়েছে। তাদের কথা কই? নাকি তাদের জীবনের দাম নাই? আপনারা হইলেন সু+শীল আর তারা তো আপনাদের ভাষায় ‘সেটলার’।

আপনারা যেহেতু শুধুমাত্র পাহাড়িদের কথা বলেছেন তার মানে আপনারা নিরপেক্ষ না।

 

“পাহাড়ে শান্তি ও সমঝোতার পরিবেশ বজায় রাখতে অপ্রকাশ্যে পাহাড়িবিরোধী কোনো বহিরাগত জনগোষ্ঠীকে রাষ্ট্রীয় কোনো এজেন্সি বা মহল থেকে মদদ বা সহায়তা দেওয়া অবিলম্বে বন্ধের দাবি করা হয় বিবৃতিতে”

 

এখানে এজেন্সি বা মহল বলতে আপনারা কাদের কথা বুঝিয়েছেন? বাংলাদেশ সেনাবাহিনী?

 

কথা একদম স্পষ্ট, নতুন বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং ভারতের দালালদের দরকার নাই। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আছে এবং থাকবে। দেশের অন্যান্য স্থানের মতো পার্বত্য চট্টগ্রামেও থাকবে। দরকার হলে যে প্রায় তিনশত ক্যাম্প ক্লোজ করা হয়েছিল সেগুলো আবারও চালু করতে হবে। ১৯৯৭ সালের ভুয়া শান্তিচুক্তি বাতিল করতে হবে।

 

“সাম্প্রতিক হত্যা*কাণ্ড, লু*ট, অগ্নি*সংযোগ এবং অন্যান্য অপরাধের পুনরাবৃত্তি রোধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে অবিলম্বে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর সব অংশীজন এবং দেশের উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজের উচ্চ প্রতিনিধিদের নিয়ে গোলটেবিল আলোচনার আয়োজনের দাবিও করা হয়”

 

দাবীর সাথে একমত কিন্তু উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজের উচ্চ প্রতিনিধি কারা? আপনারা? আপনারা নিরপেক্ষ না, তাই আপনাদের মানি না। আলোচনা অবশ্যই হতে পারে, তবে সেটা নতুন বাংলাদেশের নাগরিকদের নিয়ে। আবু সাঈদের বাংলাদেশে দালালদের ঠাঁই নাই।

Leave A Reply

Your email address will not be published.