স্বাধীনতার ৫৫ বছর: এগিয়ে চলার অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ

0 45

নিউজ ডেস্ক :

আজ বুধবার (২৬ মার্চ) ৫৫তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে সংগ্রামের বীজ বপন হয়েছিল, তা ধাপে ধাপে এগিয়ে ১৯৭১ সালে পূর্ণতা পায়। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণ, নিপীড়ন ও বর্বর হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের পর রক্তস্নাত পথ পেরিয়ে আসে কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে আজকের বাংলাদেশ হয়ে ওঠার পেছনে রয়েছে অক্লান্ত পরিশ্রম, আত্মত্যাগ ও সংগ্রামের ইতিহাস।

স্বাধীনতার সময় যেখানে বাজেট ছিল মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকা, সেখানে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই বাজেট দাঁড়িয়েছে ৭,৯৭,০০০ কোটি টাকায়। সময়ের পরিক্রমায় দেশের অর্থনীতি, অবকাঠামো, শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতের ব্যাপক অগ্রগতি বিশ্ববাসীকে নতুন এক বাংলাদেশের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে।

একসময় ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলে আখ্যায়িত বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা ধরে রেখে দারিদ্র্য নিরসন, বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি, নারীর ক্ষমতায়ন এবং ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সক্ষমতা অর্জন করেছে দেশটি। স্বাধীনতার ৫৫ বছরে এসে জাতি আজ আত্মবিশ্বাসী ও উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে চলার প্রত্যয়ে ঐক্যবদ্ধ।

“স্বাধীনতা কেবল একটি অর্জন নয়, এটি ধরে রাখার শপথও। আসুন, ঐক্যবদ্ধ হয়ে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাই।”

জাতীয় পর্যায়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে নেওয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি। প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারের সদস্য, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধারা শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। বিএনপি, এনসিপি জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন এবং সাধারণ মানুষ শহিদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবে।

এ বছর ঢাকায় কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত না হলেও দেশের অন্যান্য স্থানে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ ও সাংস্কৃতিক আয়োজন থাকবে। সরকারি ও বেসরকারি ভবনগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় করা হবে আলোকসজ্জা। প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপগুলোও সজ্জিত হবে জাতীয় পতাকা ও বর্ণিল সাজে।

প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরে বিশেষ প্রতিবেদন, আলোচনা ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক অনুষ্ঠান প্রচারিত হবে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি জাতির উদ্দেশে বাণী দেবেন, যেখানে উঠে আসবে স্বাধীনতার চেতনা, উন্নয়ন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.