জাতীয় নাগরিক পার্টির অন্যতম নারী সংগঠক মনজিলা ঝুমা

0 135

 

ডেস্ক রিপোর্টঃ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে আত্মপ্রকাশ করা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) মনোনীত হয়েছেন অ্যাডভোকেট মনজিলা ঝুমা। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের একজন আইনজীবী।

 

গত শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে নতুন এই রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে।

 

জানা গেছে, অ্যাডভোকেট মনজিলা সুলতানা ঝুমা একজন আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী, যিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা সদরের মো. আব্দুল মতিনের পাঁচ কন্যার মধ্যে তৃতীয়।

 

শিক্ষাজীবন

তিনি ২০০৮ সালে মাটিরাঙ্গা পাইলট হাই স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি এবং ২০১০ সালে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি ঢাকার স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

 

আইন পেশায় প্রবেশ

২০১৮ সালে তিনি ঢাকা জজ কোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন এবং ২০২৩ সালে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা থেকে প্রথম নারী হিসেবে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।

 

সামাজিক ও মানবাধিকারমূলক কাজ

জুলাই বিপ্লব: তিনি জুলাই বিপ্লবে আহত এবং শহীদ ছাত্রদের পরিবারের জন্য আইনি সহযোগিতা দিয়েছেন।

 

Know Your Rights – অধিকার জানো: ২০২০ সালে তিনি ফেসবুকভিত্তিক এই প্ল্যাটফর্মটি প্রতিষ্ঠা করেন, যেখানে সাধারণ মানুষ বিনামূল্যে আইনি পরামর্শ পান।

 

নিরাপদ সড়ক আন্দোলন ও শিক্ষাক্ষেত্রে ভ্যাটবিরোধী আন্দোলন: শিক্ষাজীবনে তিনি এসব আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।

 

রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার প্রসঙ্গে মনজিলা ঝুমা সময়ের আলো অনলাইনকে বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের সময় উপলব্ধি করেছি, আমরা আসলে একনায়কতন্ত্র এবং পরিবারকেন্দ্রিক রাজনীতির জালে জড়িয়ে আছি। আমাদের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আমাদের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে।

 

‘শিক্ষিত মানুষ রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ায় অযোগ্য ব্যক্তিরা এর দখল নিয়েছে। ফলে দেশের সাধারণ মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। এই অন্যায় ও অনিয়মের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো আমার নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করি।’

 

রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার প্রসঙ্গে মনজিলা ঝুমা বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের সময় উপলব্ধি করেছি, আমরা আসলে একনায়কতন্ত্র এবং পরিবারকেন্দ্রিক রাজনীতির জালে জড়িয়ে আছি। আমাদের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আমাদের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে।

 

‘শিক্ষিত মানুষ রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ায় অযোগ্য ব্যক্তিরা এর দখল নিয়েছে। ফলে দেশের সাধারণ মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। এই অন্যায় ও অনিয়মের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো আমার নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করি।’

 

নতুন দলে যোগদানের কারণ সম্পর্কে এই আইনজীবী আরো  বলেন, ‘জুলাইয়ে গণহত্যার বিচারের দাবিতে আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ববোধ থেকেই আমি নতুন দলে যুক্ত হতে চাই। আমি এমন একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে থাকতে চাই, যেখানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার রাজনীতি থাকবে। যেখানে থাকবে অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্রের চর্চা।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.